গাউট রোগের লক্ষণ কি কি - গাউট প্রতিরোধের উপায়

গাউট বা গেঁটেবাত অতি পরিচিত একটি সমস্যা। বৃদ্ধ বয়সি পুরুষ এবং মেনোপোজ হওয়ার পর নারীদের গাউট হয়ে থাকে। গাউট অনেক যন্ত্রণাদায়ক রোগ। শরীরের জয়েন্টে পয়েন্টে ব্যথা হয়।
তাই আজকে আমরা গাউট রোগের লক্ষণ কি কি? গাউট ট্রিটমেন্ট এ সকল বিষয়ে সহ আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

গাউট রোগের লক্ষণ কি কি?

গাউট রোগের অপর নাম রাজার রোগ। প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল এবং লাল মাংস পান, গাউটের বিকাশের সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্ত। আর প্রাচীনকালে শুধু মাত্র ধনী ব্যক্তিরাই প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল এবং লাল মাংস পান করতে পারেন। তাই একে রাজার রোগ বলা হয়। গাউটের ব্যাথা হটাৎ করে উঠে । প্রাথমিক 36 ঘন্টা সবচেয়ে বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। ব্যথায় স্থায়িত্বকাল অর্থাৎ ফ্লেয়ার-আপ 10 দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

অনেকেই গাউট রোগের লক্ষণ কি কি জানেন না। গাউট রোগের লক্ষণ কি কি নিচে উল্লেখ করা হলো:
  • জয়েন্টগুলোতে ফুলে যেতে পারে
  • ব্যথার কারনে জয়েন্টগুলি প্যারালাইস হয়ে যেতে পারে।
  • মাঝরাতে বা ভোরে হঠাৎ অসহনীয় জয়েন্টে পেইন হতে পারে।
  • কোমল জয়েন্ট গুলিতে ফোলা, লালভাব দেখা যেতে পারে
  • ব্যথার কারণে ওজন সহ্য করতে পারে না।
  • হাঁটতে অক্ষম হয়ে যেতে পারে।

গাউট ট্রিটমেন্ট:

ইউরিক অ্যাসিডের অতিরিক্ততা এবং পানি জমার কারণে একধরনের বাত রোগ হয় একে গাউট বলে। গাউটের কারণে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা এবং লালচে ভাব তৈরি হয়।গাউট ট্রিটমেন্ট সাধারণত ওষুধ খেয়ে, সুষম জীবন যাপন করে, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করে। গাউট ট্রিটমেন্ট নিচে উল্লেখ করা হলো:
  • নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস (NSAIDs) জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। যেমন: ইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন।
  • ব্যথা ও প্রদাহ কমানোর জন্য কোলচিসিন (Colchicine) জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
  • অ্যালোপিউরিনল (Allopurinol), ফেবুক্সোস্ট্যাট (Febuxostat) ওষুধ গুলো ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য খাওয়া যেতে পারে।
  • ফল, চেরি ফল, প্রচুর পরিমানে পানি, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া হয়।
  • লাল মাংস, মদ্য পান, চিনি , প্রসেসড ফুড খাওয়া বাদ দিতে হবে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

গাউট ব্যথা কি রাতে বেশি হয়?

অনেকের গাউট ব্যথা রাতে বেশি হয়। তাই অনেকেই প্রশ্ন করেন গাউট ব্যথা কি রাতে বেশি হয়? হ্যাঁ, গাউট ব্যথা রাতে বেশি হয়। গাউট ব্যথা রাতে বেশি হওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। গাউট ব্যথা রাতে বেশি হওয়ার কারণ নিম্নরূপ:
শরীরের তাপমাত্রা রাতে কমে যায় যার ফলে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টালের জমাট বেঁধে যায় তাই ব্যথা বেড়ে যায়।
রাতে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমে যায়, কর্টিসল হরমোন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই রাতে ব্যথা বেড়ে যায়।
রাতে রক্ত সঞ্চালন কমে যায় তাই ব্যথা বেড়ে যায়।

গাউট নাকি অন্য কিছু, কি হলে বুঝবেন?

গাউট নাকি অন্য কিছু, কি হলে বুঝবেন। গাউট যেহুতু একটি বাত রোগ তাই এর উপসর্গ অন্য কিছুর সাথে মিলে যেতে পারে। গাউট এর প্রধান লক্ষণ গুলো দেখে গাউট নাকি অন্য কিছু, কি হলে বুঝবেন। গাউট এর প্রধান লক্ষণ গুলোর সাথে না মিললেই বুঝে নিবেন আপনার গাউট নয়, অন্যকিছু হয়েছে। নিচে গাউট এর প্রধান লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলো:
  • রাতে বা সকালে হটাৎ তীব্র ব্যাথা শুরু হবে।
  • আক্রান্ত স্থান ফুলে লাল হয়ে যায়, টানটান, উষ্ণ অনুভূতি হয়।
  • আক্রান্ত স্থান নড়াচড়া করা কঠিন হয়।
  • সামান্য স্পর্শে অনেক ব্যাথা হয়।
  • একবার গাউট হলে বারবার হতে পারে।

গাউট রোগে কি মানুষ মারা যায়?

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে যে গাউট রোগে কি মানুষ মারা যায়? সাধারণত গাউট রোগে মানুষ মারা যায় না। তবে যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গাউট এর চিকিৎসা করা না হয় তবে ইনফেকশন অনেক বেড়ে যেয়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
সেপসিস বা রক্তের সংক্রমণ হতে পারে গাউট এর চিকিৎসা সময় মতো না হলে, এক্ষেত্রে এটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

গাউট হলে কি হার্টের সমস্যা হয়?

গাউট হলে কি হার্টের সমস্যা হয়? এই প্রশ্ন আপনার আমার সবার। তাই এখন আমরা গাউট হলে কি হার্টের সমস্যা হয়? এই প্রশ্নের উত্তর জানবো। হ্যাঁ, গাউট হলে হার্টের সমস্যা হয়। গাউট হলে হার্টের সমস্যা হয় কারণ :
  • গাউট হলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়, যার ফলে হৃদ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • ক্রনিক ইনফ্লামেশন হয় গাউট হলে এর ফলে ধমনীকে শক্ত বা সংকীর্ণ হয়ে যায় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

গাউট রোগে কতজন ভুগছেন?

গাউট বা গেঁটেবাত খুবই কমন বাতের রোগ। ইউরিক অ্যাসিডের অতিরিক্ততা এবং পানি জমার কারণে একধরনের বাত রোগ হয় একে গাউট বলে।প্রাচীনকালে শুধু মাত্র ধনী ব্যক্তিরাই প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল এবং লাল মাংস পান করতে পারেন। তাই একে রাজার রোগ বলা হয়। গাউটের ব্যাথা হটাৎ করে উঠে ।

গাউট রোগে কতজন ভুগছেন- এইটি বিভিন্ন পরিসংখ্যানের মাধ্যমে জানা যায়। বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ১০০০০০ মানুষের মধ্যে ৮৪০ জন মানুষ গাউট অর্থাৎ গেঁটেবাত রোগে আক্রান্ত। ৫০-৬০ বছরের পুরুষ গাউট এ বেশি আক্রান্ত হয়। নারীদের মেনোপোজ হওয়ার পর গেঁটেবাত বেশি হয়।

গাউটের ঔষধ কতদিন কাজ করে?

গাউট এর কয়েক ধরনের ওষুধ আছে। বিভিন্ন ওষুধের কাজ করার সময় বিভিন্ন রকম। তাই অনেকেই প্রশ্ন করেন যে গাউটের ঔষধ কতদিন কাজ করে? চলুন গাউটের ঔষধ কতদিন কাজ করে জেনে নেওয়া যাক:
নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস (NSAIDs) জাতীয় ওষুধ ২৪-৪৮ ঘণ্টার মতো কাজ করে। যেমন: ইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন।
ব্যথা ও প্রদাহ কমানোর জন্য কোলচিসিন (Colchicine) জাতীয় ওষুধ ৬-১২ ঘণ্টার মধ্যে কাজ করতে শুরু করে।
অ্যালোপিউরিনল (Allopurinol), ফেবুক্সোস্ট্যাট (Febuxostat) ওষুধ গুলো ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য কয়েক সপ্তাহ থেকে মাসখানেক সময় কাজ করে।

গাউট কতদিন ধরে হয়?

গাউট অ্যাটাক হটাৎ করে হয়। গাউট কতদিন ধরে হয়? এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই। গাউট অর্থাৎ গেঁটেবাত একবার হলে এর পুনরাবৃত্তি ঘটে। চলুন জেনে নেওয়া যাক গাউট কতদিন ধরে হয়।

সাধারণত ৩ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত গাউট স্থায়ী হয়। প্রথম ১২-২৪ ঘন্টা খুবই তীব্র ব্যথা হয়। পরবর্তী ৩-৭ দিনের মধ্যে ব্যথা সামান্য কমতে শুরু করে। ঠিক মত চিকিৎসা করা না হলে ১০ দিনেও গাউট ভালো হবে না।

গাউট হলে কি ত্বক হলুদ হয়?

যাদের গাউট সম্পর্কে ধারণা কম তারা গাউট হলে কি ত্বক হলুদ হয়? এসব জানতে চান। আসলে গাউট একধরনের আর্থ্রাইটিস । শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের জমে যাওয়ার কারণে গাউট হয়।

গাউট হলে শরীরের জয়েন্ট গুলোতে তীব্র ব্যাথা হয়, জায়গা গুলো লাল হয়ে যায়। তবে সাধারণত গাউট হলে ত্বক হলুদ হয় না। কারণ গাউট একধরনের বাতের অসুখ। তাই গাউট হলে ত্বক হলুদ হয় না। 

গাউট কি ত্বকের ক্ষত হতে পারে?

যাদের প্রথম গাউট হয়েছে তাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে গাউট কি ত্বকের ক্ষত হতে পারে? গাউট হলে জয়েন্টে অনেক ব্যাথা হয়, লাল হয়ে যায়, নাড়াতে কষ্ট হয়। তবে গাউট হলে সাধারণত ত্বকের ক্ষত হয় না। গাউট আক্রান্ত জায়গা ফুলে যায় তবে ক্ষত বিক্ষত হয়। ফোড়ার ক্ষেত্রে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ, গাউট হলে ত্বকের ক্ষত হতে পারে না।

গাউট কি দীর্ঘস্থায়ী রোগ?

গাউট কি দীর্ঘস্থায়ী রোগ? অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর জানেন না। হ্যাঁ গাউট দীর্ঘস্থায়ী রোগ। গাউট একবার হলে বারবার হতেই থাকে। গাউট সম্পুর্ণ ভাবে নিরাময় যোগ্য নয়। গাউট নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় , সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় না।

গাউট দীর্ঘস্থায়ী রোগ কারণ: দীর্ঘদিন ইউরিক অ্যাসিড জমার ফলে গাউট হয়। আর একবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে সহজে আর কমে না। তাই গাউট দীর্ঘস্থায়ী রোগ। গাউট হলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

গাউট রোগে কতটুকু পানি পান করা উচিত?

গাউট রোগে পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পানি ইউরিক অ্যাসিড নির্গত করতে সাহায্য করে এবং কিডনি সুস্থ রাখে। সব মানুষের শরীরের পানির চাহিদা একইরকম হয় না।

মানুষের শারীরিক পরিশ্রম এবং শরীরের পানি চাহিদা অনুযায়ী পানি পান করা উচিত। গাউট হলে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে গাউট রোগে কতটুকু পানি পান করা উচিত? গাউট হলে একজন সাধারণ মানুষের ৮ থেকে ১২ ক্লাস অর্থাৎ ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত।

গাউট আর্থ্রাইটিস কেমন হয়?

গাউট আর্থ্রাইটিস কেমন হয়? এইটা অনেকেরই অজানা। তাই আজকে আমরা গাউট আর্থ্রাইটিস কেমন হয়? এই বিষয়ে জানবো। গাউট আর্থ্রাইটিস একধরনের গেঁটেবাত। যা আমাদের জয়েন্ট গুলোতে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করে।

গাউট আর্থ্রাইটিস ৫০-৬০ বছরের পুরুষদের বেশি হয়। আবার নারীদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর গাউট বেশি হয়। গাউট আর্থ্রাইটিস হলে যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় নিম্নরূপ:
জয়েন্ট গুলো ফুলে লাল হয়ে যায় ।
পানির স্ফটিক জমে।
জয়েন্ট নাড়াচাড়া করা অনেক কষ্টকর হয়।

খেজুর খেলে কি গাউট হয়?

সামনে রমজান মাস। খেজুর ইফতারীতে অপরিহার্য একটি ফল। ছোটো, বড়ো , বৃদ্ধ সবাই খেজুর খেতে পছন্দ করেন। তবে যাদের গাউট রয়েছে তারা খেজুর খেলে কি গাউট হয়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন। চলুন খেজুর খেলে কি গাউট হয়? এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

না,খেজুর খেলে গাউট হয় না। কারন খেজুরে এমন কোনো উপাদান নেই না ইউরিক অ্যাসিড নির্গত হওয়া বৃদ্ধি করে। বরং খেজুর উপকারী ফল। খেজুর পুরিনের পরিমাণ কম। তাই খেজুর খেলে দেহে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায় না। অর্থাৎ, খেজুর খেলে গাউট হয় না।

বেশি শিম খেলে কি গাউট হয়?

শিম উচ্চ পুরিন যুক্ত খাবার। বেশি শিম খেলে শরীরে পুরিনের মাত্রা বেড়ে যেয়ে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড নির্গত হতে পারে। আর অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড নির্গত হওয়ার ফলে গাউট হয়।

তাই অনেকেই প্রশ্ন করেন যে বেশি শিম খেলে কি গাউট হয়? হ্যাঁ, বেশি শিম খেলে গাউট হয়। শিম যেহেতু উচ্চ পুরিন যুক্ত তাই সিম খেলে শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে গাউট হয়। অর্থাৎ বেশি শিম খেলে গাউট হয়।

কোন খাবারে গাউট হয়?

অনেকেই জানতে চান কোন খাবারে গাউট হয়? শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে গাউড হয় ।কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। যে খাবারগুলোতে উচ্চ পিউরিন থাকে, এই খাবারগুলো খেলে শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই এই ধরনের খাবারে গাউট হয়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারে গাউট হয়:
  • ডাল ও কিছু সবজি
  • অ্যালকোহল
  • মিষ্টি ও ফ্রুক্টোজ যুক্ত পানীয়
  • প্রসেসড মাংস
  • সামুদ্রিক খাবার
  • অর্গানিক মিট

চিনি খেলে কি গাউট হয়?

চিনি খেলে কি গাউট হয়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তো। আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন । আজকে আমরা চিনি খেলে কি গাউট হয়? এই বিষয়ে জানবো।

চিনি খেলে গাউট হয় না। তবে গাউট খাওয়ার পর চিনি গেলে গাউটের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। কারন চিনি মিষ্টি এবং সুক্রোজ জাতীয় খাবার। মিষ্টি এবং সুক্রোজ জাতীয় খাবার খেলে গাউট এর ব্যথা ও সংক্রমণ বেড়ে যায়। অর্থাৎ চিনি খেলে সরাসরি গাউট না হলেও গাউট এর অবস্থা খারাপ হতে পারে।

গাউট প্রতিরোধের উপায়:

গাউট খুবই মারাত্মক একটি রোগ। একবার গাউট হলে তা বারবার হতেই থাকে। এর থেকে পরিত্রান পাওয়া সহজ নয়। তাই গা
উট হওয়ার আগেই এর প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই গাউট প্রতিরোধের উপায় জানা আবশ্যক।

চলুন গাউট প্রতিরোধের উপায় জেনে নেওয়া যাক :
  • পিউরিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
  • শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে
  • অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস পরিহার করতে হবে
  • দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে
  • প্রচুর পানি পান করতে হবে
  • স্ট্রেস কমাতে হবে
  • নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

লেখকের শেষ কথা: 

আমাদের বাড়িতে বৃদ্ধ মানুষদের মধ্যে কেউ না কেউ গাউট অর্থাৎ গেঁটেবাত এর ব্যথায় ভুগছেন। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে তারা সতর্ক হতে পারবেন অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস জানতে পারবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি হেবি স্পিচ ব্লগারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url