মেথির খাওয়ার নিয়ম - গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

এখন আমরা জানবো মেথির খাওয়ার নিয়ম এবং গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম। কারন নিয়ম না জেনে কোনো কাজ করা উচিত নয়।

মেথি কিভাবে খেতে হয়?-মেথি খাওয়ার নিয়ম:

খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ বৃদ্ধিতে বহুকাল থেকে মেথি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এখনো অনেকেই জানেন না যে মেথি কিভাবে খেতে হয়? অর্থাৎ মেথি খাওয়ার নিয়ম কি? তবে চিন্তা নেই। নিচে মেথি কিভাবে খেতে হয় ,মেথি খাওয়ার নিয়ম সব তুলে ধরা হলো:
পানিতে ভিজিয়ে মেথি খাওয়া যায়:
২ চা চামচ মেথি বীজ ভালোভাবে ধুয়ে এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করতে হবে। মেথি পানি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
মেথি গুঁড়া খাওয়া:
মেথির বীজ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এর পর রোদে শুকাতে হবে। রোদে শুকানোর পর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে অথবা চাক্কি তে পিষে মেথি গুঁড়া করে নিতে হবে। এই মেথি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে, সালাদে মিশিয়ে, রান্নায় মিশিয়ে খাওয়া যায়।
সরাসরি মেথি বীজ খাওয়া:
মেথি বীজ সরাসরি রান্নার কাজে ব্যবহার করে খাওয়া যায়।

মেথি কতদিন খাওয়া যায়?

মেথি কতদিন খাওয়া যায়? এই প্রশ্নের নির্দিষ্টি কোনো উত্তর নেই। আপনি কোন সমস্যার সমাধান করার জন্য মেথি খাচ্ছেন। মেথি কতদিন খাওয়া যায়-নিচে উল্লেখ করা হলো:
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে মেথি :
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য মেথি খাওয়া হয়, যা অনেক হেল্পফুল। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন ৫-১৫ গ্রাম মেথি ২-৩ মাস খাওয়া যেতে পারে।
ওজন হ্রাস করার জন্য মেথি:
ওজন হ্রাস করার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভিজানো মেথি ২-৩ মাস খেতে হবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে মেথি:
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের জন্য সপ্তাহে ৪-৫ দিন মেথি খেতে হবে।
চুল ও ত্বকের জন্য মেথি:
চুল ও ত্বকের জন্য বাহ্যিক ভাবে নিয়মিত মেথি ব্যবহার করা যায়।
স্তন্যদান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে:
স্তন্যদান বৃদ্ধির জন্য ২-৩ সপ্তাহ মেথি খাওয়া যেতে পারে।

মেথির উপকারিতা কি?

ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ায় মেথি পাওয়া যায়, যা একটি ভেষজ ওষুধ। রান্নার কাজে বা ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে অনেকে মেথি ব্যবহার করে। মেথিতে রয়েছে ভিটামিন এ ,থিয়ামিন, ফলিক এসিড, রাইবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন এ, বি৬ এবং সি। মেথির বিভিন্ন উপকারিতা আছে। মেথির উপকারিতা নিম্নরূপ:
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও হজমের সমস্যা কমাতে সহযোগিতা করে:
পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং তলপেটে প্রদাহ ইত্যাদি থেকে মেথি আমাদের রক্ষা করে। রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে এবং শরীরে এইচডিএল বৃদ্ধি করতে মেথি সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধক:
শরীরের চর্বি এবং ফোলা কমানোর জন্য চিকিৎসকরা মেথি খাওয়ার পরামর্শ দেন। মেথি শক্তি ভেঙে দেয় যার ফলে ফোলা কমে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
মেথির মধ্যে কিছু ফাইবার থাকে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। মেথি কোলোন ক্যানসার হওয়া থেকে রক্ষা করে কারণ সাপোলিন এবং মুসিজ খাবারে বিষাক্ত পদার্থকে একত্র করে শরীর থেকে টক্সিন হিসেবে বের করে দেয় মেথি।
খাবার খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে:
মেথি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং বদহজম দূর করে যা ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে খাবার খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি পায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
মেথি লিপিড এবং গ্লুকোজ বিপাককে উন্নত করে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আবার মেথি ফ্যাট বার্ন করে যার ফলে ওজন কমে।
মাতৃত্বকালীন সময়ে মাতৃ দুধ প্রবাহ বৃদ্ধি করে:
মেথি শাকে রয়েছে ফাইটোইস্ট্রোজেন ।ফাইটোইস্ট্রোজেন স্তন্যপ্রদানকারী মায়েদের মধ্যে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। মেথি গ্যালাক্টাগোগ হিসাবে কাজ করে, তাই এটি মায়েদের দুধ প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সক্ষম।
পুরুষদের কামশক্তি বৃদ্ধি করে:
পুরুষদের হার্নিয়া, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা মেথি করে। টেস্টোস্টেরনের স্তর ইবং যৌন উত্তেজক বৃদ্ধি করতে মেথি সাহায্য করে।
নিয়মিত পিরিয়ড :
মাসিক চক্রের সমস্যা সমাধান ও ঋতুস্রাবের ব্যথা কমানোর জন্য মেথি খুবই উপকারী একটা জিনিস। মেথিতে ডায়োসজেনিন নামক পদার্থ রয়েছে যা ইস্ট্রোজেনের মতই কাজ করে এবং স্ট্রেস, মাথা ঘোরা এবং ঘুমের অভাব ইত্যাদি মেনোপজের লক্ষণ এর সমাধান করে।
হার্ট এ্যাটাক এর ঝুঁকি কমায়:
মেথির বীজে ২৫% গ্যালাক্ট‌োম্যানান
অর্থাৎ প্রাকৃতিক দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে । যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহযোগিতা করে।

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম:

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে মেথি অনেক কার্যকরী। অনেক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে খেয়ে থাকেন । যারা খাওয়ার কথা ভাবেন তাদের অবশ্যই গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম জানা প্রয়োজন। গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম নিম্নরূপ:
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের জন্য সপ্তাহে ৪-৫ দিন মেথি খেতে হবে। রাতে মেথি ভিজানো পানি সকালে খেতে হবে বা মেথির গুঁড়া খাওয়া যেতে পারে।

পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম:

পুরুষদের জন্য মেথি অনেক কার্যকরী। আপনি যদি পুরুষ হোন তবে আপনার পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম জানা অত্যাবশ্যক। চলুন পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক:
পানিতে ভিজিয়ে মেথি খাওয়া যায়:
২ চা চামচ মেথি বীজ ভালোভাবে ধুয়ে এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করতে হবে। মেথি পানি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
মেথি গুঁড়া খাওয়া:
মেথির বীজ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এর পর রোদে শুকাতে হবে। রোদে শুকানোর পর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে অথবা চাক্কি তে পিষে মেথি গুঁড়া করে নিতে হবে। এই মেথি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে, সালাদে মিশিয়ে, রান্নায় মিশিয়ে খাওয়া যায়।
সরাসরি মেথি বীজ খাওয়া:
মেথি বীজ সরাসরি রান্নার কাজে ব্যবহার করে খাওয়া যায়

মেথি পাউডার খাওয়ার নিয়ম-মেথি গুঁড়া খাওয়ার নিয়ম:

সবাই সরাসরি মেথি বীজ বা মেথি ভিজানো পানি খেতে পারে না। এর পরিবর্তে মেথি গুঁড়া খাওয়া যেতে পারে। মেথি পাউডার খাওয়ার নিয়ম জেনে তবেই মেথি পাউদার খাওয়া উচিত। মেথি গুঁড়া খাওয়ার নিয়ম নিম্নরূপ:

মেথির বীজ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এর পর রোদে শুকাতে হবে। রোদে শুকানোর পর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে অথবা চাক্কি তে পিষে মেথি গুঁড়া করে নিতে হবে। এই মেথি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে, সালাদে মিশিয়ে, রান্নায় মিশিয়ে খাওয়া যায়।

ডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম:

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে মেথি অনেকেই খেয়ে থাকে। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য মেথি খাওয়া হয়, যা অনেক হেল্পফুল। ডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম জানা উচিত নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম নিম্নরূপ: ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন ৫-১৫ গ্রাম মেথি ২-৩ মাস খাওয়া যেতে পারে।

মেথির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:

  • মেথিতে রয়েছে টেরাটোজেনিক সম্ভাবনা। তাই বেশি পরিমাণ মেথি খেলে জন্মদানে দোষ সৃষ্টি হতে পারে।
  • জরায়ুর উদ্দীপক হিসেবে মেথি পরিচিত। তাই বেশি পরিমাণ মেথি খেলে এটি গর্ভাশয়ে সংকোচনের কারণ হতে পারে এবং প্রসব বেদনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
  • আপনি যদি অতিরিক্ত মেথি খান তাহলে আপনার পেট ব্যাথা, গ্যাস্ট্রিক বা ডায়রিয়া হতে পারে।
  • যেকোনো ওষুধ গ্রহণের ২ ঘন্টা আগে বা পরে মেথি খাওয়া উচিত নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে
  • মেথি খেলে কারো কারো এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: গলায় চুলকানি।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন মেথি খেলে কি হয়।

মেথি পানি খাওয়ার উপকারিতা:

পাঁচফোড়নের অন্যতম উপাদান মেথি। প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন রোগের ওষুধ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মেথি পানি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ২ চা চামচ মেথি বীজ ভালোভাবে ধুয়ে এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করতে হবে। মেথি পানি খাওয়ার উপকারিতা নিম্নরূপ:
হজমের সমস্যা কমাতে সহযোগিতা করে:
পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং তলপেটে প্রদাহ ইত্যাদি থেকে মেথি আমাদের রক্ষা করে। রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে এবং শরীরে এইচডিএল বৃদ্ধি করতে মেথি সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধক:
শরীরের চর্বি এবং ফোলা কমানোর জন্য চিকিৎসকরা মেথি খাওয়ার পরামর্শ দেন। মেথি শক্তি ভেঙে দেয় যার ফলে ফোলা কমে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
মেথির মধ্যে কিছু ফাইবার থাকে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। মেথি কোলোন ক্যানসার হওয়া থেকে রক্ষা করে কারণ সাপোলিন এবং মুসিজ খাবারে বিষাক্ত পদার্থকে একত্র করে শরীর থেকে টক্সিন হিসেবে বের করে দেয় মেথি।
খাবার খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে:
মেথি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং বদহজম দূর করে যা ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে খাবার খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি পায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
মেথি লিপিড এবং গ্লুকোজ বিপাককে উন্নত করে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আবার মেথি ফ্যাট বার্ন করে যার ফলে ওজন কমে।
মাতৃত্বকালীন সময়ে মাতৃ দুধ প্রবাহ বৃদ্ধি করে:
মেথি শাকে রয়েছে ফাইটোইস্ট্রোজেন ।ফাইটোইস্ট্রোজেন স্তন্যপ্রদানকারী মায়েদের মধ্যে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। মেথি গ্যালাক্টাগোগ হিসাবে কাজ করে, তাই এটি মায়েদের দুধ প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সক্ষম।
পুরুষদের কামশক্তি বৃদ্ধি করে:
পুরুষদের হার্নিয়া, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা মেথি করে। টেস্টোস্টেরনের স্তর ইবং যৌন উত্তেজক বৃদ্ধি করতে মেথি সাহায্য করে।
নিয়মিত পিরিয়ড :
মাসিক চক্রের সমস্যা সমাধান ও ঋতুস্রাবের ব্যথা কমানোর জন্য মেথি খুবই উপকারী একটা জিনিস। মেথিতে ডায়োসজেনিন নামক পদার্থ রয়েছে যা ইস্ট্রোজেনের মতই কাজ করে এবং স্ট্রেস, মাথা ঘোরা এবং ঘুমের অভাব ইত্যাদি মেনোপজের লক্ষণ এর সমাধান করে।
হার্ট এ্যাটাক এর ঝুঁকি কমায়:
মেথির বীজে ২৫% গ্যালাক্ট‌োম্যানান
অর্থাৎ প্রাকৃতিক দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে । যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহযোগিতা করে।

মেথি গুঁড়া খাওয়ার উপকারিতা:

ভারতীয় উপহাদেশে দেশে বহুকাল আগে থেকেই মেথি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রূপ চর্চা , রান্না , রোগের সমাধান সহ বিভিন্ন কাজে মেথি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মেথির গুঁড়া জাদুকরী জিনিস। মেথি গুঁড়া খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। চলুক মেথি গুঁড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
  1. হজমের সমস্যা কমাতে সহযোগিতা করে: পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং তলপেটে প্রদাহ ইত্যাদি থেকে মেথি আমাদের রক্ষা করে। রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে এবং শরীরে এইচডিএল বৃদ্ধি করতে মেথি সাহায্য করে।
  2. রোগ প্রতিরোধক: শরীরের চর্বি এবং ফোলা কমানোর জন্য চিকিৎসকরা মেথি খাওয়ার পরামর্শ দেন। মেথি শক্তি ভেঙে দেয় যার ফলে ফোলা কমে যায়।
  3. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: মেথির মধ্যে কিছু ফাইবার থাকে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। মেথি কোলোন ক্যানসার হওয়া থেকে রক্ষা করে কারণ সাপোলিন এবং মুসিজ খাবারে বিষাক্ত পদার্থকে একত্র করে শরীর থেকে টক্সিন হিসেবে বের করে দেয় মেথি।
  4. খাবার খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে: মেথি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং বদহজম দূর করে যা ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে খাবার খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি পায়।
  5. ওজন কমাতে সাহায্য করে: মেথি লিপিড এবং গ্লুকোজ বিপাককে উন্নত করে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আবার মেথি ফ্যাট বার্ন করে যার ফলে ওজন কমে।
  6. মাতৃত্বকালীন সময়ে মাতৃ দুধ প্রবাহ বৃদ্ধি করে: মেথি শাকে রয়েছে ফাইটোইস্ট্রোজেন ।ফাইটোইস্ট্রোজেন স্তন্যপ্রদানকারী মায়েদের মধ্যে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। মেথি গ্যালাক্টাগোগ হিসাবে কাজ করে, তাই এটি মায়েদের দুধ প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সক্ষম।
  7. পুরুষদের কামশক্তি বৃদ্ধি করে: পুরুষদের হার্নিয়া, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা মেথি করে। টেস্টোস্টেরনের স্তর ইবং যৌন উত্তেজক বৃদ্ধি করতে মেথি সাহায্য করে।
  8. নিয়মিত পিরিয়ড : মাসিক চক্রের সমস্যা সমাধান ও ঋতুস্রাবের ব্যথা কমানোর জন্য মেথি খুবই উপকারী একটা জিনিস। মেথিতে ডায়োসজেনিন নামক পদার্থ রয়েছে যা ইস্ট্রোজেনের মতই কাজ করে এবং স্ট্রেস, মাথা ঘোরা এবং ঘুমের অভাব ইত্যাদি মেনোপজের লক্ষণ এর সমাধান করে।
  9. হার্ট এ্যাটাক এর ঝুঁকি কমায়: মেথির বীজে ২৫% গ্যালাক্ট‌োম্যানান অর্থাৎ প্রাকৃতিক দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে । যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহযোগিতা করে।

FAQs:

১) প্রশ্ন: মেথি কি?
উত্তরমেথি ভেষজ ওষুধ, রান্নার মশলা, তেলের উপাদান।

২) প্রশ্নমেথীতে কোন কোন ভিটামিন?
উত্তর:মেথীতে A, C, B complex ভিটামিন আছে।

৩) প্রশ্ন: মেথির স্বাদ কেমন?
উত্তর:মেথির স্বাদ তেতো ও সুগন্ধ যুক্ত।

৪) প্রশ্ন:কিভাবে মেথি সংরক্ষণ করতে হয়?
উত্তর: শুকনো ও বায়ুরোধী পাত্রে মেথি সংরক্ষণ করতে হয়।

৫) প্রশ্ন:মেথির তেল এর কাজ কি?
উত্তর:মেথির তেল চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী।

লেখকের শেষ কথা:

মেথি সম্পর্কে এতো কিছু জেনে অবশ্যই আপনি উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু শুধু আপনি জানলেই কি চলবে আপনার বন্ধুদেরও জানাতে হবে তাই এক্ষুনি বন্ধুদের সাথে আর্টিকেল টি শেয়ার করে তাদের উপকার করুন। ধন্যবাদ আপনাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি হেবি স্পিচ ব্লগারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url