ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - ড্রাগন ফল কি

আজকে আমরা ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - ড্রাগন ফল কি এই সম্পর্কে আলোচনা করব। ড্রাগন ফলের জনপ্রিয়তা দিন দিন যেভাবে বাড়ছে তাতে আমাদের সকলের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - ড্রাগন ফল কি এই সম্পর্কে জানা উচিত। ড্রাগন ফল ২০০৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম আমদানি হয়ে এসেছিল। এটি আমেরিকা থেকে আমদানি করা হয়েছিল। এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ড্রাগন ফল চাষ হয়।

বাংলাদেশের প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষ ড্রাগন ফল খাওয়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। তাই আমি অজকের আর্টিকেলে ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - ড্রাগন ফল কি এই তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্র:

ড্রাগন ফল কি

ড্রাগন ফল বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস থেকে আসে। যা খুবই জনপ্রিয় ও সুস্বাদু ফল। বিশেষ করে Hylocereus, Selenecereus প্রজাতির ক্যাকটাস থেকে ড্রাগন পরিবেশে উৎপন্ন হয়। ভিয়েতনাম থাইল্যান্ড ইন্দোনেশিয়ান ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ড্রাগন ফল বেশি চাষ হয়। বর্তমানে বাংলাদেশেও ড্রাগন ফলের চাষ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

ড্রাগন ফল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। ড্রাগন ফলের ওপরের অংশটি মোটা আবরণ যুক্ত এবং অনেকটা কাটাযুক্ত এর মতো দেখতে। ড্রাগন ফলের ভেতরের অংশ সাদা, লাল অথবা বেগুনি কালারের হয়ে থাকেন এবং ছোট ছোট বীজ যুক্ত হয়। ড্রাগন ফল উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।

কেন ড্রাগন ফল খাবেন

ড্রাগন ফলের নাম শুনলেই আমাদের কমিক্স গল্পের ড্রাগন চরিত্রের কথা মনে পড়ে। কমিক্স গল্পের ড্রাগনের যেমন অনেক গুন ছিল তেমনি ড্রাগন ফলে রয়েছে অসংখ্য গুনাগুন। ড্রাগন ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণের কারণে বিশ্বব্যাপী এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন ড্রাগন ফল খাবেন, এর উত্তর আপনি একটু পরেই পেয়ে যাবেন।

ড্রাগন ফলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটাতে সহায়তা করে এবং আগের তুলনায় স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। কেন ড্রাগন ফল খাবেন - নিচে সেই কারণ গুলো তুলে ধরা হলো:
  1. ১) ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল হজমে সহায়তা করে। ড্রাগন ফল খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
  2. ২) ফ্লাভোনয়েদ, ফেনোলিক এসিড, বিটাসায়ানিন - এর মতো প্রাকৃতিক উপাদান গুলো আপনার কোষ কে ফ্রী রেডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে।
  3. ৩) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফলে রয়েছে ফাইবার যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ।
  4. ৪) ড্রাগন ফল খেলে হার্ট ভালো থাকে। রাঙা ফলে যে ছোট ছোট বীজ রয়েছে সেগুলো ওমেগা-৩ ওমেগা-৯ ফ্যাটি এসিড বিশিষ্ট। এই ফ্যাটি এসিড গুলো হার্টের জন্য উপকারী। ড্রাগন ফল কার্ডিয়ভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।
  5. ৫) অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জলবায়ুর কারণে আমাদের ত্বক দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ড্রাগন ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে অথবা ড্রাগন ফলের জুস খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
  6. ৬) ড্রাগন ফল খেলে হাড় মজবুত হয়। ড্রাগন ফলে ১৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম আছে। যা হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখে। ড্রাগন ফল হাড়ের খেলে জয়েন্টের ব্যথা কমে যায়।
  7. ৭) ড্রাগন ফলে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। তাই ড্রাগন ফল আমাদের চোখের জন্য উপকারী। এটি আমাদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন: চোখের ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  8. ৮) ড্রাগন ফল গর্ভবতীদের জন্য আদর্শ ফল। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন বি, ফোলেট, আইরন। এই উপাদান গুলো নবজাতকের বিভিন্ন ত্রুটি দূর করে ও হাড় মজবুত করে। একই সাথে গর্ভবতী নারীদের পুষ্টি জোগায়।
আশা করি এতক্ষণে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে কেন ড্রাগন ফল খাবেন।

৩০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে কি পরিমাণ পুষ্টির উপাদান থাকে?

ডাউন ফলের পুষ্টি উপাদানের অভাব নেই। আমরা অনেকেই ৩০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে কি পরিমাণ পুষ্টির উপাদান থাকে? জানতে আগ্রহী। কারণ ড্রাগন ফল ওজন অনুযায়ী বিক্রী করা হয়। ড্রাগন ফল নামে যেমন রাজকীয় পুষ্টি উপাদানেও তেমন রাজকীয়। নিচে ৩০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে কি পরিমাণ পুষ্টির উপাদান থাকে - সেটা তুলে ধরা হলো:
  1. ৩০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে যে যে উপাদান থাকে:
  2. ক্যালরি থাকে - ১৭০-১৮০ ক্যালোরি
  3. কার্বোহাইড্রেট থাকে - ৪০-৫০ গ্রাম
  4. ফাইবার থাকে - ৯-১২ গ্রাম
  5. প্রোটিন থাকে - ৫-৬ গ্রাম
  6. ফ্যাট থাকে - ১.৫-২ গ্রাম
  7. ভিটামিন বি থাকে - ভিটামিন বি১, বি২, বি৩
  8. ভিটামিন সি থাকে - অতি উচ্চ মাত্রায়
  9. আইরন থাকে - ১.২-০.৯ গ্রাম
  10. ক্যালসিয়াম থাকে - ২৪-১৮ গ্রাম
  11. ম্যাগনেসিয়াম থাকে - প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম
  12. ফসফরাস থাকে - ৯০-৭৫ মিলিগ্রাম
৩০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে কি পরিমাণ পুষ্টির উপাদান থাকে - তা ওপরে তুলে ধরা হয়েছে।

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

ড্রাগন ফল উপকারি বলেই দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক।ড্রাগন ফলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটাতে সহায়তা করে এবং আগের তুলনায় স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। ড্রাগন ফল খাওয়ায় উপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলো:
  1. ১) ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল হজমে সহায়তা করে। ড্রাগন ফল খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
  2. ২) ফ্লাভোনয়েদ, ফেনোলিক এসিড, বিটাসায়ানিন - এর মতো প্রাকৃতিক উপাদান গুলো আপনার কোষ কে ফ্রী রেডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে।
  3. ৩) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফলে রয়েছে ফাইবার যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ।
  4. ৪) ড্রাগন ফল খেলে হার্ট ভালো থাকে। রাঙা ফলে যে ছোট ছোট বীজ রয়েছে সেগুলো ওমেগা-৩ ওমেগা-৯ ফ্যাটি এসিড বিশিষ্ট। এই ফ্যাটি এসিড গুলো হার্টের জন্য উপকারী। ড্রাগন ফল কার্ডিয়ভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।
  5. ৫) অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জলবায়ুর কারণে আমাদের ত্বক দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ড্রাগন ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে অথবা ড্রাগন ফলের জুস খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
  6. ৬) ড্রাগন ফল খেলে হাড় মজবুত হয়। ড্রাগন ফলে ১৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম আছে। যা হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখে। ড্রাগন ফল হাড়ের খেলে জয়েন্টের ব্যথা কমে যায়।
  7. ৭) ড্রাগন ফলে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। তাই ড্রাগন ফল আমাদের চোখের জন্য উপকারী। এটি আমাদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন: চোখের ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  8. ৮) ড্রাগন ফল গর্ভবতীদের জন্য আদর্শ ফল। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন বি, ফোলেট, আইরন। এই উপাদান গুলো নবজাতকের বিভিন্ন ত্রুটি দূর করে ও হাড় মজবুত করে। একই সাথে গর্ভবতী নারীদের পুষ্টি জোগায়।
আশা রাখছি ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা জেনে আপনি লাভবান হয়েছেন।

ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা

ড্রাগন ফল অনেক উপকারী একটি ফল। তবুও ড্রাগন ফলের কিছু অপকারিতা রয়েছে। অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে শরীরের ক্ষতি হয়। যেকোনো ভালো জিনিস উপকারী জিনিস অতিরিক্ত খাওয়া একদম ঠিক নয়। এতে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান প্রবেশ করে এবং আমাদের শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হয়।

অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে অনেক মানুষের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যা তার শরীরের জন্য অপকারী। নিচে ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা তুলে ধরা হলো:
  1. ১) এলার্জির সমস্যা হতে পারে: এলার্জি এমন একটি জিনিস যে কখন কোন কারণে এলার্জি দেখা দিবে সেটা বোঝা দায়। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন জিনিসের এলার্জি রয়েছে। হয়তো এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের ড্রাগন ফলে এলার্জি আছে কিন্তু তারা সেটা জানেন না। এক্ষেত্রে তারা যদি ড্রাগন ফল খান, তাহলে ড্রাগন ফল তাদের শরীরের জন্য অপকারী হয়ে দাঁড়াবে।
  2. ২) রক্তচাপ কমিয়ে দেয়: টাউন ফলে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন আমাদের শরীরের রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। যারা ডায়াবেটিস রোগী ও উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য উপকারী। তবে যারা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগেন তারা অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে সমস্যায় পড়বেন। ড্রাগন ফল নিম্ন রক্তচাপ রোগীদের রক্তচাপ আরো কমিয়ে দিবে। যা তাদের জন্য মারাত্মক অপকারী।
  3. ৩) অন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে: অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন পেটের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। অর্থাৎ ড্রাগন ফল খাওয়া উপকারী হলেও বেশি বেশি ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা কম নয়।

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া যাবে কিনা?

অনেক গর্ভবতী মায়েরা প্রশ্ন করেন যে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া যাবে কিনা? হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া যাবে। ডাক্তারদের মতে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল আদর্শ একটি ফল। গর্ভাবস্থায় মায়েরা যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খান তাহলে মা সহ বাচ্চা দুজনেই সুস্থ থাকবেন।

ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন। যা মা এবং ভ্রূণের দেহের জন্য খুবই উপকারী। অনেক গর্ভবতী নারী গর্ভাবস্থায় আয়রন ক্যাপসুল, এর অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এর বিকল্প হিসেবে ড্রাগন ফল খাওয়া যাবে।

গর্ভাবস্থায় হজমের সমস্যা খুবই কমন একটি সমস্যা। ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। তাই গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে হজমের সমস্যা দূর হয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। অবস্থায় নারীদের পানিজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ড্রাগন ফলে ফলে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে যা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।

ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন বি, ফোলেট, আইরন। এই উপাদান গুলো নবজাতকের বিভিন্ন ত্রুটি দূর করে ও হাড় মজবুত করে। একই সাথে গর্ভবতী নারীদের পুষ্টি জোগায়। সর্বোপরিব অবশ্যই গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া যাবে। এতে মা এবং শিশু উভয়ে অনেক উপকৃত হবেন।

লেখকের শেষ কথা

আজকে ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - ড্রাগন ফল কি এই - সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা রাখছি ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - ড্রাগন ফল কি এই বিষয়ক আর্টিকেলটি পরে আপনি লাভবান হয়েছেন। এখন ছোট থেকে বড় সকলেই ড্রাগন ফল খেতে খুব পছন্দ করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি হেবি স্পিচ ব্লগারে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url